করোনা নিয়ে চারদিকে আতঙ্ক। দেশে দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ, লকডাউন বা অবরুদ্ধ হয়ে আছে সব, কার্যত অচল হয়ে আছে পৃথিবী। এতে অর্থনীতিতে বড় রকমের ধস নামবে বলে পূর্ব সতর্কতা দিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা। ফলে দেশে দেশে সরকার কিভাবে সেই আর্থিক ধস থেকে তার নিজের দেশকে রক্ষা করা যাবে তার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। এমনই এক প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে নাগরিকদের অভয় দিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।
করোনা মোকাবিলা করা এবং নাগরিকদের সাহস জোগাতে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বাড়িভাড়াসহ সব দায়িত্ব নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, চলমান কোভিড-১৯ (করোনা ভাইরাস) প্রাদুর্ভাবের কারণে তার সরকার কানাডিয়ানদের অর্থনৈতিক দৈন্যদশায় পড়তে দেবে না। নিজের স্বাস্থ্য, পরিবারের স্বাস্থ্য, চাকরি, বাড়িভাড়া নিয়ে চিন্তিত হওয়ার দরকার নেই। সব সরকার দেখবে। আমরা কানাডিয়ানদের আর্থিকভাবে সহযোগিতা করব। এদিকে ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে অন্টারিও প্রভিন্সে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।
তিনি দেশের নাগরিকদের বলেছেন, ঘর ভাড়া দেয়া নিয়ে কারো উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে হবে অথবা শিশুর পরিচর্যা করতে হবে- এর কিছু নিয়েই উদ্বিগ্ন হবেন না। তার ভাষায়, কানাডার নাগরিকদের আমরা আর্থিক সহায়তা দিয়ে সাহায্য করবো।
কানাডার সংবাদমাধ্যম সিটিনিউজ ১১৩০ এ তথ্য জানিয়েছে।
ট্রুডো ঘোষণা দিয়েছেন, করোনা মোকাবিলায় খুব শিগগিরই তার সরকার ‘সিগনিফিক্যান্ট ফিসক্যাল স্টিমুলাস’ নামে একটি বিশেষ প্যাকেজ চালু করতে যাচ্ছে। এই প্যাকেজটি গত সপ্তাহে ঘোষণা দেয়া ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অতিরিক্ত।
তিনি বলেন, বেশ কয়েকদিন ধরে বিশ্বজুড়ে কোভিড-১৯ ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে। কানাডাও সেই প্রভাবের বাইরে না।
সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কানাডায় ৩৪১ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে একজন মারা গেছেন। সুস্থ হয়েছেন ১১ জন। প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো নিজে ও তার স্ত্রী সোফি গ্রেগরি ১৪ দিনের আইসোলেশনে রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর শরীরে এখনো করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেনি। এছাড়া স্ত্রী সোফি করোনায় আক্রান্ত হলেও তার অবস্থা স্থিতিশীল।